Ads Area

Web Design Course Admission

সমুদ্রতরঙ্গের সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপসমূহ

সমুদ্র উপকূলে তরঙ্গ বাহিত পদার্থসমূহ সঞ্চিত হয়ে বিভিন্ন প্রকার বৈচিত্র্যময় ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়। সমুদ্রতরঙ্গের কার্যে সৃষ্ট এই প্রকার সঞ্চয়জাত ভূমিরূপগুলি হলো নিম্নরূপ:

সৈকতভূমিঃ

ছোট ছোট নুড়ি, বালুকণা, পাথর, কাঁকর প্রভৃতি তটভূমির উপর সঞ্চিত হয়ে যে সমতল ভূমিভাগ গঠন করে, তাকে সৈকতভূমি বা বেলাভূমি বলে।

সৈকতশিরাঃ

সৈকতের উপর তরঙ্গ বাহিত নুড়ি, বালি, কাঁকর ইত্যাদি সঞ্চিত হয়ে যে শৈলশিরার মত সংকীর্ণ ও দীর্ঘ উঁচু ভূমি গঠন করে, তাকে সৈকতশিরা বলে।

সামুদ্রিক বাঁধঃ

সমুদ্রতরঙ্গ বাহিত নুড়ি, বালি, কাঁকর প্রভৃতি উপকূলের সমান্তরালে সঞ্চিত হয়ে যে সংকীর্ণ স্তুপ সৃষ্টি করে তাকে সামুদ্রিক বাঁধ বলে।

            চিত্র:             সামুদ্রিক বাঁধ


স্পিটঃ

নুড়ি, বালি, কাঁকর ইত্যাদি সঞ্চয়ের ফলে কোনো বাঁধ সৃষ্টি হয়ে যদি তার এক প্রান্ত স্থলভাগের সঙ্গে যুক্ত ও অপর প্রান্ত সমুদ্রের দিকে বিস্তৃত থাকে, তাহলে তাকে স্পিট বলে।

           চিত্র:                   স্পিট


টম্বোলোঃ

কোনো স্পিট কোনো দ্বীপকে উপকূল অর্থাৎ, মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করলে সেইরুপ স্পিটকে টম্বোলো বলে।

          চিত্র:                   টম্বোলো


কাস্পেট পুরোভূমিঃ

একটির পর একটি কাস্পেট স্পিট ধারাবাহিকভাবে সমুদ্রের দিকে গঠিত হলে, তটভূমি সমুদ্রের দিকে বিস্তার লাভ করে এবং ত্রিকোণাকার ভূখণ্ড গঠিত হয়। এভাবে গঠিত ত্রিকোণাকার ভূখণ্ডকে কাস্পেট পুরোভূমি বলে।

            চিত্র:           কাস্পেট পুরোভূমি


লুপ বারঃ

দ্বীপের এক প্রান্ত থেকে স্পিট বর্ধিত হয়ে অনেকটা ঘুরে আবার মূল ভূখন্ডের সঙ্গে যুক্ত হলে তাকে লুপ বার বলে।

           চিত্র:                     লুপবার


বে বারঃ

উপসাগরের সম্মুখভাগে স্পিট বর্ধিত হয়ে যে বাঁধ গঠিত হয়, তাকে বে বার বলে।

            চিত্র:                    বে বার 







Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area