আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় কৃত্রিম উপগ্রহের প্রভাবঃ-
বর্তমান যুগ হল উপগ্রহ পরিষেবার যুগ। আজকের আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় উপগ্রহ পরিষেবার প্রভাব তাৎপর্যপূর্ণ। উপগ্রহ ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে আধুনিক যোগাযোগ পরিষেবা প্রদান করা দ্রুততার সহিত সম্ভব হয়েছে।
আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় উপগ্রহ যোগাযোগের গুরুত্বগুলি হল নিম্নরূপ:-
◆ উপগ্রহ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তকে আধুনিক যোগাযোগ পরিষেবার আয়ত্তাধীনে আনা সম্ভবপর হয়েছে। টেলিফোন ও মোবাইল ফোনের সাহায্যে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে দ্রুত তথ্য ও সংবাদ আদান-প্রদান করা হয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের সাথে দ্রুত যোগাযোগ সহজ হয়েছে।
◆ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যোগাযোগ অনেক সহজতর হয়েছে উপগ্রহ পরিষেবার মাধ্যমে। যেকোনো দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় উপগ্রহ পরিষেবার ভূমিকা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
◆ আধুনিক শিক্ষার প্রসারে উপগ্রহ পরিষেবার উল্লেখযোগ্য প্রভাব লক্ষ্য করা যায়, দূরশিক্ষণ ব্যবস্থাসহ শ্রেণীকক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নেওয়ার সময় অনেকক্ষেত্রে উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যবহার হয়ে থাকে।
◆ চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশের যে কোনো হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে রোগীকে ওষুধ দেওয়া ও অন্যান্য পরিষেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়, যা টেলিমেডিসিন নামে পরিচিত।
◆ বিনোদনের ক্ষেত্রগুলিতেও উপগ্রহ ব্যবস্থার অবদান অনস্বীকার্য। উপগ্রহ পরিষেবার কারণে বিনোদনভিত্তিক যোগাযোগ আজ হাতের নাগালের মধ্যেই। কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে টেলিযোগাযোগ, টেলিভিশন প্রভৃতি যোগাযোগ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সম্ভবপর হয়েছে।
◆ আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য প্রদান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয় সম্পর্কে পূর্বাভাস প্রভৃতি কার্যে উপগ্রহ ব্যবস্থার ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
এককথায় উপগ্রহ পরিষেবা ছাড়া আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় অচল। তাই আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় কৃত্রিম উপগ্রহের গুরুত্ব অপরিসীম।