সাধারণ উদ্ভিদ বা মেসোফাইট:-
যে মৃত্তিকায় জলের পরিমাণ খুব বেশি নয় বা খুব কমও নয় অর্থাৎ যে মাটিতে আর্দ্রতার পরিমাণ স্বাভাবিক এরূপ পরিবেশে যেসব উদ্ভিদ জন্মায় তাদের সাধারণ উদ্ভিদ বা মেসোফাইট বলে।এই প্রকার উদ্ভিদ অধিক আর্দ্র বা অধিক শুষ্ক অঞ্চলে জন্মায় না। এরা মূলত জলজ উদ্ভিদ ও জাঙ্গল উদ্ভিদের মধ্যবর্তী পর্যায়ের উদ্ভিদ।
বৃষ্টির তারতম্য অনুযায়ী সাধারণ বা মেসোফাইট উদ্ভিদ চিরহরিৎ ও পর্ণমোচী শ্রেণীর হয়।
উদাহরণ:- আম, জাম, কাঁঠাল, বট, অশ্বত্থ, নিম, শাল, সেগুন, পলাশ, মহুয়া, রোজউড, আয়রনউড, শিশু, গর্জন, মেহগিনি, চাপলাস, অর্জুন, পাইন, ফার, দেবদারু প্রভৃতি।
সাধারণ উদ্ভিদের অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্যঃ- সাধারণ উদ্ভিদের অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্যগুলি হল নিম্নরুপ---
👉 অঙ্গসংস্থানিক:
মূল:
◆ এই শ্রেনীর উদ্ভিদের মূল সুগঠিত হয়।
◆ মূলগুলি দীর্ঘ ও শাখাপ্রশাখা যুক্ত।
◆ মূল মূলরোম ও মূলত্রাণ যুক্ত।
কান্ড:
◆ কান্ডগুলি সাধারণত শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট।
পাতা:
◆ পাতাগুলি সুগঠিত ও বিভিন্ন আকৃতির।
◆ পাতার কিনারা মসৃণ বা খাঁজকাটা এবং বিষমপৃষ্ঠ।
◆ পাতায় পত্ররন্ধ্রের সংখ্যা খুব বেশি এবং পত্ররন্ধ্র সাধারণত পাতার নিম্নত্বকে অবস্থান করে।
👉 শারীরবৃত্তীয়:
◆ যান্ত্রিক কলা ও সংবহন কলা সুগঠিত হয়।
◆ চিরহরিৎ উদ্ভিদের পাতাগুলি পুরু হয় এবং পর্ণমোচী উদ্ভিদের পাতা পাতলা প্রকৃতির হয়।
◆ পর্ণমোচী জাতীয় সাধারণ উদ্ভিদের পাতাগুলি শীতকালে ঝরে যায়।