উৎপাদক ও খাদকের মধ্যে যেসব পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়, সেগুলি হল নিম্নরুপ--
১. খাদ্য নির্ভরতাঃ
উৎপাদক:
উৎপাদকরা স্বভোজী শ্রেণির।
এরা নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করে ও গ্রহন করে।
খাদক:
খাদকরা পরভোজী শ্রেণির।
এরা নিজেদের খাদ্য নিজেরা উৎপাদন করতে পারে না। খাদ্যের জন্য উৎপাদক ও অন্যান্য খাদকের ওপর নির্ভর করে।
২. পদার্থের যোগানঃ
উৎপাদক:
উৎপাদকরা খাদ্য তৈরীর সময় পরিবেশ থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নেয় এবং উৎপন্ন অক্সিজেন পরিবেশে যোগান দেয়।
খাদক:
খাদক প্রাণীরা পরিবেশ থেকে অক্সিজেন নেয় এবং পরিবেশে কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে।
৩. শক্তিঃ
উৎপাদক:
উৎপাদকরা সৌরশক্তিকে নিজদেহে আবদ্ধ করে।
খাদক:
খাদকরা সৌরশক্তিকে নিজদেহে আবদ্ধ করতে পারে না। উৎপাদক থেকে শক্তি লাভ করে।
৪. ক্লোরোফিলের উপস্থিতিঃ
উৎপাদক:
উৎপাদকের দেহে ক্লোরোফিল উপস্থিত থাকে।
খাদক:
খাদকের শরীরে কোন ক্লোরোফিল থাকে না।
৫. পুষ্টিস্তরে অবস্থানঃ
উৎপাদক:
এরা পুষ্টিস্তরের সবচেয়ে নীচে অবস্থান করে।
খাদক:
এরা পুষ্টিস্তরের দ্বিতীয় স্তর থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত অবস্থান করে।
৬. জীবের সংখ্যাঃ
উৎপাদক:
উৎপাদকের সংখ্যা খাদক প্রাণীদের তুলনায় বহুগুণ বেশি।
খাদক:
খাদক প্রাণীর সংখ্যা উৎপাদকের তুলনায় যথেষ্ট কম।
৭. আয়তনঃ
উৎপাদক:
পরিবেশে মোট জীবভরের সিংহভাগ জুড়ে উৎপাদকরা অধিকার করে আছে।
খাদক:
মোট জীবভরের অনেক কম অংশ জুড়ে খাদক প্রাণীরা অধিকার করে আছে।
৮. স্থানিকতাঃ
উৎপাদক:
উৎপাদকরা স্বস্থানিক।(ভাসমান উদ্ভিদরা ব্যাতিক্রম)
খাদক:
খাদকরা স্বস্থানিক নয়। অর্থাৎ, এরা অস্থানিক।