👉 সংজ্ঞাঃ
আঞ্চলিক মাটি:
কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে আদিশিলার প্রভাব ছাড়াই কেবলমাত্র জলবায়ুর উপাদানগুলির প্রভাবে যে মৃত্তিকার সৃষ্টি হয়, তাকে আঞ্চলিক মাটি বলে।
অনাঞ্চলিক মাটি:
মাটি গঠন প্রক্রিয়ার প্রভাব ছাড়াই বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত শিলাচূর্ণ বাহিত হয়ে দূরবর্তী কোনো অবনত অংশে সঞ্চিত হয়ে যে মাটির সৃষ্টি হয়, তাকে অনাঞ্চলিক মাটি বলে।
👉 নিয়ন্ত্রকের প্রভাবঃ
আঞ্চলিক মাটি:
মাটি গঠনে জলবায়ুর প্রভাব সবচেয়ে বেশি।
অনাঞ্চলিক মাটি:
মাটি গঠনে সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয়- কোন উপাদানের প্রভাব থাকে না।
👉 জলবায়ুর সাথে সম্পর্কঃ
আঞ্চলিক মাটি:
একই প্রকার জলবায়ু অঞ্চলে মাত্র এক ধরনের মাটি সৃষ্টি হয়।
অনাঞ্চলিক মাটি:
জলবায়ুর প্রভাব না থাকায় এক ধরনের মাটি সব জলবায়ুতে দেখা যেতে পারে।
👉 সৃষ্টির সময়কালঃ
আঞ্চলিক মাটি:
মাটি গঠন প্রক্রিয়াসমূহের কাজের শেষ পর্যায়ে এই মাটির সৃষ্টি হয়।
অনাঞ্চলিক মাটি:
মাটি গঠনের কাজ সবসময় চলতে থাকে।
👉 মৃত্তিকা স্তরঃ
আঞ্চলিক মাটি:
আঞ্চলিক শ্রেণীর মাটি পরিণত ও একাধিক সুস্পষ্ট স্তরবিশিষ্ট।
অনাঞ্চলিক মাটি:
অনাঞ্চলিক শ্রেণীর মাটি অপরিণত ও স্তরবিহীন।
👉 স্থানিকতাঃ
আঞ্চলিক মাটি:
এই প্রকার মাটি আদিশিলার ওপর স্ব-স্থানিক।
অনাঞ্চলিক মাটি:
আদিশিলা থেকে অনেক দূরে পরিবাহিত হয় বলে এই মাটি অস্থানিক প্রকৃতির।
👉 পুরুত্বঃ
আঞ্চলিক মাটি:
আবহবিকারের বিস্তার লাভের ওপর এই মাটির গভীরতা নির্ভর করে।
এই মাটি সাধারণত বেশ পুরু হয়।
অনাঞ্চলিক মাটি:
পরিবাহিত পদার্থের যোগান ও ভূমিঢালের প্রকৃতির ওপর মাটির গভীরতা নির্ভর করে।
এই মাটি সাধারণত কম পুরু হয়।
👉 উদাহরণঃ
আঞ্চলিক মাটি:
ল্যাটেরাইট, পডসল, সিরোজেম প্রভৃতি আঞ্চলিক মাটির উদাহরণ।
অনাঞ্চলিক মাটি:
পলিমাটি, লোয়েস, রেগোসল প্রভৃতি অনাঞ্চলিক মাটির উদাহরণ।