সরলবর্গীয় বনভূমি অঞ্চলে কাষ্ঠশিল্পের উন্নতির কারণ
🔷 একই প্রজাতির গাছের সমাবেশঃ সরলবর্গীয় অরণ্যে একই প্রজাতির গাছ একসঙ্গে জন্মায় বলে বাণিজ্যিকভাবে কাষ্ঠ সংগ্রহ করার সুবিধাজনক।
🔷 নরম ও হালকা কাঠঃ সরলবর্গীয় বনভূমির কাঠ নরম বলে কম সময়ে সহজে গাছ কাটা যায় এবং হালকা হওয়ায় অন্যত্র বয়ে নিয়ে যেতেও সহজ হয়।
🔷 পরিষ্কার তলদেশঃ বনভূমির তলদেশে কোনো আগাছা বা লতা গুল্ম জন্মায় না বলে তলদেশ সর্বদা পরিষ্কার থাকে, ফলে বনের ভিতর সহজে প্রবেশ করা যায়।
🔷 পরিবহনের সুবিধাঃ বনভূমি বেশিরভাগ সময় বরফাবৃত থাকে বলে পিচ্ছিল বরফের ওপর দিয়ে সহজেই গাছের গুঁড়িগুলিকে টেনে আনা যায়। এছাড়া, গ্রীষ্মকালে বরফ গলে গেলে গুঁড়িগুলি স্রোতে ভেসে আসে। ফলে পরিবহন খরচ পড়ে না।
🔷 সুলভ শ্রমিকঃ শীতকালে যখন ভূমিভাগ বরফে ঢাকা থাকে, তখন চাষ আবাদ হয় না বলে ওই সময় স্বল্প মজুরিতে শ্রমিক পাওয়া যায়।
🔷 অনুকূল জলবায়ুঃ এই অঞ্চলের জলবায়ু শীতল নাতিশীতোষ্ণ প্রকৃতির হওয়ায় শ্রমিকেরা অত্যন্ত পরিশ্রমী হয় এবং দীর্ঘসময় ধরে কাজ করলেও সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়ে না।
🔷 জলবিদ্যুতের প্রাচুর্য্যঃ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের দেশ গুলিতে প্রচুর পরিমাণে জলবিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় এবং এই জলবিদ্যুৎ শক্তির প্রাচুর্য এই অঞ্চলের কাগজ ও কাষ্ঠ শিল্পে পর্যাপ্ত বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করে।
🔷 মূলধনের পর্যাপ্ত যোগানঃ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কাষ্ঠভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলার জন্য যে পরিমাণ মূলধনের প্রয়োজন হয়, তার পর্যাপ্ত যোগান এই অঞ্চলের দেশগুলিতে পাওয়া যায়।
🔷 চাহিদাঃ নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের দেশগুলি শিল্পে উন্নত হওয়ায় দেশগুলিতে কাঠ, কাঠজাত সামগ্রী, কাগজ প্রভৃতির বিপুল চাহিদা রয়েছে।