খাদ্যশৃঙ্খলের বৈশিষ্ট্য ঃ- খাদ্যশৃঙ্খলের বৈশিষ্ট্যগুলি হল---
১। খাদ্যশৃঙ্খলে নীচের পুষ্টিস্তর থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টিস্তর পর্যন্ত শক্তির একমুখী প্রবাহ ঘটে।
২। খাদ্য-খাদকের সম্পর্কের ভিত্তিতে পুষ্টির বিভিন্ন স্তরে একটি করে খাদ্য ও খাদক থাকে।
৩। খাদ্যশৃঙ্খলে পুষ্টিপদার্থের প্রবাহপথ সরল।
৪। নীচের স্তর থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত জীবের সংখ্যা ও শক্তির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে।
৫। খাদ্যশৃঙ্খলে জীববৈচিত্র্য বা জীবপ্রজাতির সংখ্যা কম থাকে।
৬। একটি খাদ্যশৃঙ্খলে পুষ্টিস্তরের সংখ্যা ৩ থেকে ৫ এর মধ্যে থাকে।
৭। খাদ্যশৃঙ্খলে জীবগোষ্ঠী একটি নির্দিষ্ট পুষ্টিস্তরে অবস্থান করে।
৮। বাস্তুতন্ত্রে কোনো খাদ্যশৃঙ্খল একবার নষ্ট হলে পুনরায় তা ভারসাম্য অবস্থায় আসতে দীর্ঘসময় লেগে যায়।
খাদ্যশৃঙ্খলের গুরুত্ব ঃ-
◆ খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে স্বভোজী উদ্ভিদ থেকে শক্তি ও পুষ্টি পদার্থ অন্যান্য খাদকস্তরে স্থানান্তরিত হয়।
◆ খাদ্যশৃঙ্খল যত সংক্ষিপ্ত হয় বাস্তুতন্ত্র ততই সুগঠিত হয়।
◆ বাস্তুতন্ত্রের অস্তিত্ব রক্ষায় খাদ্যশৃঙ্খলের গুরুত্ব অপরিসীম।
খাদ্যশৃঙ্খলের শ্রেণিবিভাগ ঃ- খাদ্যগ্রহনের ধরন অনুযায়ী খাদ্যশৃঙ্খলকে দু'ভাগে ভাগ করা যায়।
১। গ্রেজিং বা চারণভূমি খাদ্যশৃঙ্খল:- যে খাদ্যশৃঙ্খল উৎপাদক থেকে শুরু হয় এবং প্রাথমিক খাদক হিসেবে তৃণভোজীরা চরে চরে খাদ্যগ্রহণ করে তাকে গ্রেজিং বা চারণভূমি খাদ্যশৃঙ্খল বলে।
উৎপাদক স্তর থেকে শক্তি ধাপে ধাপে তৃণভোজী এবং মাংসাশী প্রাণীদের মধ্যে সঞ্চারিত হয়।
উদা:
লতাগুল্ম > হরিণ > বাঘ
২। ডেট্রিটাস বা কর্কর খাদ্যশৃঙ্খল:- যে খাদ্যশৃঙ্খল ডেট্রিটাস পদার্থ অর্থাৎ অর্ধবিশ্লিষ্ট জৈবপদার্থ থেকে শুরু হয়ে বড় প্রাণীতে শেষ হয় তাকে ডেট্রিটাস বা কর্কর খাদ্যশৃঙ্খল বলে।
অর্ধবিশ্লিষ্ট জৈব পদার্থ থেকে শক্তি অণুজীবের মাধ্যমে ধাপে ধাপে বিভিন্ন খাদক স্তরে সঞ্চারিত হয়।
উদা:
পচা পাতা > লার্ভা > ছোটো মাছ > বড় মাছ