ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের জীবনচক্রঃ
ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের জীবনচক্রকে চারটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। অন্যভাবে বলা যায়, ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের উৎপত্তি ও বিকাশ চারটি পর্যায়ে সংঘটিত হয়।
প্রারম্ভিক পর্যায়:
অতিরিক্ত উষ্ণতার প্রভাবে সমুদ্রের ওপর বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে বায়ুর চাপ হ্রাস পায়। বিভিন্ন দিক থেকে এলোমেলোভাবে বাতাস প্রবাহিত হয় এবং ক্রমাগত আবর্তিত হয় ঘূর্ণির সৃষ্টি হয়।
বিকাশশীল পর্যায়:
এই পর্যায়ে বায়ুর চাপ ক্রমশ কমতে থাকে, বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যায়। বায়ুর আবর্তনজনিত ঘূর্ণনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে একটি প্রবল শক্তিশালী নিম্নচাপ কেন্দ্র সৃষ্টি হয়। কোনো কোনো সময় বড় ঘূর্ণবাত ভেঙ্গে কয়েকটি ছোটো ছোটো ঘূর্ণবাতে পরিণত হয়।
পরিণত পর্যায়:
এই পর্যায়ে ঘূর্ণবাতের প্রাবল্য বাড়ে। ঘূর্ণবাতের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে শীতল বায়ু ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রের দিকে প্রবলবেগে ঘুরতে ঘুরতে ছুটে আসে এবং ওই শীতল বায়ু কেন্দ্রে আসার পর উষ্ণ ও উর্দ্ধগামী হয়। তীব্র বজ্রঝড়ের সৃষ্টি হয়।
অন্তিম পর্যায়:
এই পর্যায়ে ঘূর্ণবাত স্থলভাগে প্রবেশ করায় ভূপৃষ্ঠের ঘর্ষণজনিত বাধার জন্য ও জলীয় বাষ্পের যোগানের ঘাটতির ফলে ঘূর্ণবাতের শক্তি হ্রাস পায়। ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কমে যায়। কেন্দ্রের নিম্নচাপ ক্রমাগত উচ্চচাপে পরিণত হয় এবং অবশেষে ঘূর্ণবাতটি নিস্তেজ হয়ে পড়ে।