জনস্বল্পতা বা জনবিরলতাঃ
কোনো দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের সাপেক্ষে জনসংখ্যা কম হলে তাকে জনস্বল্পতা বলে।
অর্থাৎ, কাম্য জনসংখ্যা অপেক্ষা কম সংখ্যক জনসংখ্যাই জনস্বল্পতা বা জনবিরলতা।
জনস্বল্পতার বৈশিষ্ট্যঃ
◆ জনঘনত্ব কম হওয়ায় শ্রমশক্তির ঘাটতি দেখা যায়।
◆ শ্রমশক্তির যোগানের অভাবে সম্পদ উৎপাদন ব্যাহত হয়।
◆ প্রাকৃতিক সম্পদের তুলনায় জনসংখ্যা কম হয়।
◆ কৃষি ও শিল্পে তেমন উন্নতি দেখা যায় না।
◆ সম্পদ উৎপাদন ও জনসংখ্যার বৃদ্ধি খুব ধীরগতিতে ঘটে।
◆ অধিকাংশ সম্পদ নিরপেক্ষ বস্তু হিসেবে পড়ে থাকে।
উদাঃ
অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইডেন প্রভৃতি দেশে জনস্বল্পতা লক্ষ করা যায়।
জনাকীর্ণতা বা জনাধিক্যঃ
কোনো দেশের জনসংখ্যা প্রাকৃতিক সম্পদের সাপেক্ষে অত্যাধিক বেশি হলে তাকে জনাধিক্য বা জনাকীর্ণতা বলে।
অর্থাৎ, এককথায় কাম্য জনসংখ্যার অতিরিক্ত জনসংখ্যাই জনাধিক্য বা জনাকীর্ণতা বা অতি-জনাকীর্ণতা।
জনাকীর্ণতার বৈশিষ্ট্যঃ
◆ কাম্য জনসংখ্যা অপেক্ষা জনসংখ্যা অধিক হয়।
◆ কার্যকরী জমির ওপর চাপ বাড়ে।
◆ মাথাপিছু আয় কম। ফলে জীবনযাত্রার মান নিম্নমুখী হয়।
◆ শ্রমশক্তি উদ্বৃত্ত হওয়ায় ছদ্ম বেকারত্বের সৃষ্টি হয়।
◆ প্রাকৃতিক পরিবেশ অধিকহারে দূষিত হয়।
◆ জনাকীর্ণতার ফলস্বরূপ- দারিদ্র্য, অপুষ্টি, অশিক্ষা প্রভৃতি বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়।
◆ অসামাজিক ক্রিয়াকলাপ বৃদ্ধি পায়।
◆ প্রাকৃতিক সম্পদ দ্রুত নিঃশেষিত হয়।
উদাঃ
চীন, ভারত, পাকিস্থান, বাংলাদেশ প্রভৃতি উন্নয়নশীল দেশে জনাধিক্য বা অতি-জনাকীর্ণতা দেখা যায়।