আঁকশিরূপী নদী নকশাঃ
জলনির্গম প্রণালীতে কোনো অববাহিকায় উপনদীগুলি যখন প্রধান নদীর গতিপথের বিপরীত দিকে প্রবাহিত হয়ে শেষে বড়শির কাঁটার মতো বাঁক নিয়ে প্রধান নদীর সাথে মিলিত হয়, তখন তাকে বড়শি-বাঁক নদী নকশা বা আঁকশিরূপী নদী নকশা বলে।
উদা: গোদাবরীর উপনদী ইন্দ্রাবতী নদী গোদাবরী নদীতে বড়শির মতো বাঁক নিয়ে মিলিত হয়েছে।
চিত্রঃ
আঁকশিরূপী নদী নকশার নিয়ন্ত্রকঃ
স্থানীয়ভাবে নিম্নক্ষয়ের শেষ সীমার পরিবর্তন, তির্যক ভঙ্গিতে ভূমিভাগের উত্থান প্রভৃতি হল এই প্রকার নদী নকশার নিয়ন্ত্রক।
আঁকশিরূপী নদী নকশার বৈশিষ্ট্যঃ
এই প্রকার নদী নকশার বৈশিষ্ট্যগুলি হল---
◆ এই ধরনের নদী নকশা সাধারণত নদীর মস্তক অঞ্চলে দেখা যায়।
◆ মূল নদীর প্রবাহপথের সাপেক্ষে উপনদীগুলি মূল নদীর সাথে স্থূলকোণে মিলিত হয়।
◆ উপনদীগুলি যেখানে প্রধান নদীর সাথে মিলিত হয় সেই অংশে বড়শি আকৃতির বাঁকের সৃষ্টি হয়।
◆ চ্যুতির কারণে শিলাস্তরের নতির স্থানীয় পরিবর্তন ঘটলে বা নদীগ্রাসের ফলে মূল নদীর প্রবাহপথ পরিবর্তিত হলে, সেখানে এই প্রকার নদী নকশা গড়ে ওঠে।
◆ সামগ্রিক নদী ব্যবস্থার সঙ্গে বেমানান হওয়ায় একে অসংগত নদী নকশা বলা হয়।