স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র ও মরু অঞ্চলের ক্ষয়চক্রের পার্থক্যঃ-
স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র ও মরু অঞ্চলের ক্ষয়চক্রের মধ্যে যেসব পার্থক্য দেখা যায়, সেগুলি নিম্নরূপ---
✍ ক্ষয়চক্রের সূচনা
◆ স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র
নতুন ভূ-ভাগের উত্থানের মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রের সূচনা হয়।
◆ মরু অঞ্চলের ক্ষয়চক্র
পাদসমভূমির উত্থানের মধ্য দিয়ে মরু অঞ্চলের ক্ষয়চক্রের সূচনা হয়।
✍ পরিলক্ষিত অঞ্চল
◆ স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র
স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র সম্পন্ন হয় আর্দ্র জলবায়ু অঞ্চলে।
◆ মরু অঞ্চলের ক্ষয়চক্র
মরু অঞ্চলের ক্ষয়চক্র সম্পন্ন হয় শুষ্ক জলবায়ু অঞ্চলে।
✍ নিয়ন্ত্রণকারী প্রক্রিয়া
◆ স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র
স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রে ভূমিরূপ বিবর্তনে নদী বা প্রবাহমান জলধারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
◆ মরু অঞ্চলের ক্ষয়চক্র
মরু ক্ষয়চক্রে ভূমিরূপ বিবর্তনে আবহবিকার, পুঞ্জিত ক্ষয়, বায়ু ও জলধারা মিলিতভাবে ভূমিকা পালন করে।
✍ ভূমির বন্ধুরতা
◆ স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র
স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রে ভূমির বন্ধুরতা সবচেয়ে বেশি পরিণত পর্যায়ে।
◆ মরু অঞ্চলের ক্ষয়চক্র
মরু অঞ্চলের ক্ষয়চক্রে ভূমির বন্ধুরতা সর্বাধিক যৌবন পর্যায়ে।
✍ ক্ষয়চক্রের শেষ সীমা
◆ স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র
সমুদ্রপৃষ্ঠই হল স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রের শেষ সীমা।
◆ মরু অঞ্চলের ক্ষয়চক্র
ভৌমজলতল হল মরু অঞ্চলের ক্ষয়চক্রের শেষ সীমা।
✍ যৌবন পর্যায়ে ভূমির উচ্চতা
◆ স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র
স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রে যৌবন পর্যায়ে ভূমির আপেক্ষিক উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।
◆ মরু অঞ্চলের ক্ষয়চক্র
মরু ক্ষয়চক্রে যৌবন পর্যায়ে ভূমির আপেক্ষিক উচ্চতা ক্রমাগত হ্রাস পায়।
✍ বার্ধক্য পর্যায়ের ভূমিরূপ
◆ স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র
স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রের শেষ পর্যায়ে পেনিপ্লেন ও মোনাডনক ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়।
◆ মরু অঞ্চলের ক্ষয়চক্র
মরু ক্ষয়চক্রের শেষ পর্যায়ে পেডিপ্লেন ও ইনসেলবার্জ ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়।
✍ সৃষ্ট হ্রদ
◆ স্বাভাবিক ক্ষয়চক্র
স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রে বার্ধক্য অবস্থায় অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের সৃষ্টি হয়।
◆ মরু অঞ্চলের ক্ষয়চক্র
মরু ক্ষয়চক্রে যৌবন অবস্থায় প্লায়া হ্রদের সৃষ্টি হয়।