পিলেজিক মাছ ও ডেমার্সাল মাছের মধ্যে পার্থক্যঃ
পিলেজিক মাছ ও ডেমার্সাল মাছের মধ্যে যে বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য দেখা যায়, সেগুলি হল নিম্নরুপ---
👉 সংজ্ঞাঃ
◆ পিলেজিক মাছ:
সমুদ্রজলের উপরের অংশে যেসব মাছ ঘুরে বেড়ায়, তাদের পিলেজিক মাছ বলে।
উদা: হেরিং, ম্যাকারেল, সার্ডিন, পিলচার্ড, ব্রিজলিং, অ্যানকোভি প্রভৃতি।
◆ ডেমার্সাল মাছ:
সমুদ্রজলের অনেকটা গভীরে যেসব মাছ বিচরণ করে, তাদের ডেমার্সাল মাছ বলে।
উদা: কড, হ্যাডক, হ্যাক, হ্যালিবুট, টুনা প্রভৃতি।
👉 আকৃতিঃ
◆ পিলেজিক মাছ:
পিলেজিক মাছ আকৃতিতে ছোটো হয়। এই মাছ দৈর্ঘ্যে সর্বাধিক ৪০ সেমি পর্যন্ত হয়।
◆ ডেমার্সাল মাছ:
ডেমার্সাল মাছ সাধারণত অনেক বড় হয়। কোনো কোনো মাছ দৈর্ঘ্যে ৩ - ৪ মিটার পর্যন্ত হয়।
👉 বিচরণের প্রকৃতিঃ
◆ পিলেজিক মাছ:
এই মাছগুলি একসঙ্গে ঝাঁকে ঝাঁকে ঘুরে বেড়ায়।
◆ ডেমার্সাল মাছ:
এই মাছগুলি বিচ্ছিন্ন বা এককভাবে ঘুরে বেড়ায়।
👉 বিচরণ ক্ষেত্রঃ
◆ পিলেজিক মাছ:
পিলেজিক মাছ সমুদ্রের উপরের অংশে অর্থাৎ, ফোটিক অঞ্চলে বিচরণ করে।
◆ ডেমার্সাল মাছ:
ডেমার্সাল মাছ সমুদ্রের অনেক গভীর অংশে অর্থাৎ, অ্যাফোটিক অঞ্চলে বিচরণ করে।
👉 সংগ্রহ পদ্ধতিঃ
◆ পিলেজিক মাছ:
সাধারণত ভাসা জাল দিয়ে এই মাছ ধরা হয়।
◆ ডেমার্সাল মাছ:
সাধারণত টানা জাল দিয়ে এই মাছ ধরা হয়।
👉 মাছের পরিমাণঃ
◆ পিলেজিক মাছ:
সমুদ্র থেকে সংগৃহীত মাছের মধ্যে পিলেজিক মাছের পরিমাণ বেশি।
◆ ডেমার্সাল মাছ:
সমুদ্র থেকে সংগৃহীত মাছের মধ্যে ডেমার্সাল মাছের পরিমাণ অনেক কম।
👉 খাদ্যগুণ ও গুরুত্বঃ
◆ পিলেজিক মাছ:
এই মাছ খুব সুস্বাদু ও পুষ্টিকর, কিন্তু শিল্পে ব্যবহার কম।
◆ ডেমার্সাল মাছ:
এই মাছ মোটামুটি কম সুস্বাদু, তবে শিল্পের প্রয়োজনে বেশি ব্যবহৃত হয়।