অভ্যন্তরীণ মৎস্যচাষ ও সামুদ্রিক মৎস্যচাষের মধ্যে পার্থক্যঃ
👉 প্রধান ক্ষেত্রঃ
অভ্যন্তরীণ মৎস্যচাষ
দেশের অভ্যন্তরভাগে নদ-নদী, পুকুর, হ্রদ, খাল, বিল প্রভৃতি হল অভ্যন্তরীণ মৎস্যচাষের প্রধান ক্ষেত্র।
সামুদ্রিক মৎস্যচাষ
সমুদ্র উপকূল বা মহীসোপান অঞ্চল এবং গভীর সমুদ্র হল সামুদ্রিক মৎস্যচাষের প্রধান ক্ষেত্র।
👉 প্রধান মৎস্যঃ
অভ্যন্তরীণ মৎস্যচাষ
রুই, কাতলা, মৃগেল, বোয়াল, সিঙ্গি, মাগুর, কই প্রভৃতি হল অভ্যন্তরীণ মৎস্যচাষের প্রধান মৎস্য।
সামুদ্রিক মৎস্যচাষ
ভেটকি, ইলিশ, চিংড়ি, কড, হেডক, হেরিং, ম্যাকারেল, সার্ডিন, পিলচার্ড প্রভৃতি হল সামুদ্রিক মৎস্যচাষের প্রধান মৎস্য।
👉 মূলধনের পরিমাণঃ
অভ্যন্তরীণ মৎস্যচাষ
অভ্যন্তরীণ মৎস্যচাষে কম পরিমাণ মূলধনের প্রয়োজন হয়।
সামুদ্রিক মৎস্যচাষ
সামুদ্রিক মৎস্যচাষে অধিক পরিমাণ মূলধনের প্রয়োজন হয়।
👉 প্রযুক্তি ও কৌশলঃ
অভ্যন্তরীণ মৎস্যচাষ
অভ্যন্তরীণ মৎস্যচাষে পুরানো কৌশলে প্রাচীন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সামুদ্রিক মৎস্যচাষ
সামুদ্রিক মৎস্যচাষে আধুনিক সাজ-সরঞ্জাম এবং উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
👉 উদ্দেশ্যঃ
অভ্যন্তরীণ মৎস্যচাষ
অভ্যন্তরীণ মৎস্যচাষ মূলত জীবিকাসত্ত্বাভিত্তিক এবং স্থানীয় চাহিদাভিত্তিক।
সামুদ্রিক মৎস্যচাষ
সামুদ্রিক মৎস্যচাষ প্রধানত রপ্তানিভিত্তিক বা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যভিত্তিক।
👉 শিকার পদ্ধতিঃ
অভ্যন্তরীণ মৎস্যচাষ
প্রধানত প্রাচীন পদ্ধতিতে বঁড়শি ও জালের সাহায্যে মাছ ধরা হয়।
সামুদ্রিক মৎস্যচাষ
মাছ শিকারে আধুনিক পদ্ধতি, বিভিন্ন প্রকার জাল, উপগ্রহচিত্র ইত্যাদির সাহায্য নেওয়া হয়।
👉 মৎস্যচাষের প্রধান দেশঃ
অভ্যন্তরীণ মৎস্যচাষ
ভারত, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, ভিয়েতনাম, লাওস, চিন, জাপান প্রভৃতি হল অভ্যন্তরীণ মৎস্য চাষের প্রধান দেশ।
সামুদ্রিক মৎস্যচাষ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, কোরিয়া, নরওয়ে, ডেনমার্ক এছাড়া চিন, জাপান প্রভৃতি হল সামুদ্রিক মৎস্য চাষের প্রধান দেশ।