ভারতে পাটশিল্পের সমস্যাঃ-
ভারতে পাটশিল্পের ক্ষেত্রে যে সব সমস্যাগুলি পরিলক্ষিত হয়, সেগুলি হল নিম্নরুপ:-
🕳 কাঁচাপাটের যোগান হ্রাসঃ
দেশভাগের পর প্রধান পাট উৎপাদক অঞ্চলগুলি বাংলাদেশের অন্তর্গত হওয়ায় ভারতে কাঁচা পাটের অভাব দেখা দিতে থাকে। এছাড়া, পাট চাষে তেমন লাভ না পাওয়ায় এই চাষে কৃষকের আগ্রহও ক্রমশ কমছে।ফলে কাঁচাপাটের যোগান ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।
🕳 পুরোনো যন্ত্রপাতির ব্যবহারঃ
ভারতের অধিকাংশ পাটশিল্প স্বাধীনতার পূর্বে গড়ে ওঠায় ভারতীয় পাটশিল্পে ব্যবহৃত অধিকাংশ যন্ত্রপাতিই পুরনো। ফলে পুরোনো যন্ত্রপাতির সাহায্যে উৎপাদনও স্বল্প হয়।
🕳 পাটজাত দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিঃ
কাঁচাপাটের বর্ধিত মূল্য, স্বল্প উৎপাদন, ত্রুটিযুক্ত বাজার নীতি প্রভৃতি কারণে এদেশে পাটজাত দ্রব্যের মূল্য ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
🕳 বিকল্প দ্রব্যের ব্যবহারঃ
পাটজাত দ্রব্যের বাজার মূল্য যেমন অধিক, আবার টেকসইও কম। তাই বর্তমানে পাটজাত দ্রব্যের পরিবর্তে অন্যান্য বিকল্প দ্রব্যের ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে।
🕳 আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতাঃ
ভারতীয় পাটজাত পণ্যের তুলনায় বাংলাদেশ, জাপান ব্রাজিল সহ বেশ কয়েকটি দেশের পাটজাত দ্রব্যের দাম অনেকটা কম এবং গুণগত মানও বেশি। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতায় ভারতীয় পাটজাত পণ্যের চাহিদা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।
🕳 বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতিঃ
ভারতের অধিকাংশ পাট শিল্পক্ষেত্রগুলিতে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি দেখা যায়, ফলে পাট শিল্পে উৎপাদন ব্যাহত হয়।
🕳 শ্রমিক - মালিক অসন্তোষঃ
ভারতের পাট শিল্পগুলিতে শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি সহ একাধিক কারণে শ্রমিক-মালিক অসন্তোষ লেগেই গেছে, যা শিল্পের উৎপাদন ব্যবস্থায় অন্যতম প্রতিবন্ধকতা।
🕳 মূলধনের অভাবঃ
পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা উত্তরোত্তর হ্রাস পাওয়ায় বেসরকারি সংস্থাগুলিরও পাট শিল্পে মূলধন বিনিয়োগে অনিহা দেখা দিচ্ছে।