জৈব গ্যাস শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা
জৈব গ্যাস শক্তির সুবিধা ও অসুবিধাগুলি হল নিম্নরূপ---
👉 জৈব গ্যাস শক্তির সুবিধাঃ
🔷 কাঁচামালের সহজলভ্যতা: জৈব গ্যাস প্ল্যান্টের কাঁচামাল হল গবাদি পশুর গোবর। তাই, এই গ্যাস উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের যোগান খুব সহজেই পাওয়া যায়।
🔷 পরিবেশমিত্রতা: জৈব গ্যাস উৎপাদনে কোনো প্রকার পরিবেশ দূষণ ঘটে না। তাই এটি পরিবেশমিত্র শক্তিসম্পদ।
🔷 কম উৎপাদন ব্যয়: জৈব গ্যাস উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ ব্যয় যেমন খুবই কম, তেমনি গ্যাস উৎপাদনে কোন প্রকার পৌনঃপৌণিক ব্যয়ও নেই।
🔷 পুনর্ভব শক্তি: এটি একটি পুনর্ভব শক্তিসম্পদ। তাই, এর অবাধ যোগান সম্ভব। এটি ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই।
🔷 জৈব সারের যোগান: জৈব গ্যাস উৎপাদনে ব্যবহৃত গোবর থেকে জৈব সার পাওয়া যায়, যা কৃষিক্ষেত্রে খুব উপযোগী।
👉 জৈব গ্যাস শক্তির অসুবিধাঃ
🔷 শক্তি সঞ্চয়ে অসুবিধা: জৈব গ্যাস সঞ্চয় করে রাখা যায় না, তাই প্রয়োজন অনুসারে এই গ্যাস উৎপাদন করতে হয়।
🔷 স্বল্প চাহিদা পুরণ: বৃহৎ আকারের জৈব গ্যাস উৎপাদনকেন্দ্র স্থাপন করা যায় না। ফলে, এটি কেবল স্বল্প সংখ্যক মানুষের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।
🔷 কাঁচামালের যোগান হ্রাস: বর্তমানে কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রয়োগ অধিক হওয়ায় গবাদি পশুর প্রতিপালন দ্রুত কমছে। ফলস্বরূপ, গোবরের যোগানও ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।